ইতিহাসের পাতায় সোনালী হরফে লেখা যে নামগুলি জ্বলজ্বল করে, তাদের এই জ্বলে ওঠার পিছনে পুড়ে অঙার হওয়া একদল মায়েদের গল্প লুকিয়ে আছে। সোনালী যুগে সেই মায়েদের জন্ম হয়নি, বরং তাদের নিয়েই সূচনা হয়েছিল সোনালী যুগের। আবার কেউ কেউ সোনাকে খাঁটি করার প্রয়াসে দাহ্য হয়েছেন সোনামুখ-সাফল্য না দেখেই। এইসব মায়েরা আমাদের অনুপ্রেরণা। শ্রদ্ধা আর মর্যাদা প্রাপ্তির অত্যাধিক অধিকারিনী। তাদের জীবনের বাঁকেবাঁকে রয়েছে আমাদের জন্য পথ চলার রসদ। কারো প্রজ্ঞা, কারো সবর , কারো সাহসিকতা আর কারো ছিল জ্ঞানের বহর। আমাদের অতীত সোনালী মায়েদের গল্প যেন বয়ে চলা অপার্থিব নহর। যেখানে দৃষ্টি রাখলে স্থির হয়ে যায় চোখ, কান পাতলে ব্যকুল হয়ে যায় মন, নাসিকা ভরে ওঠে এক জান্নাতি ঘ্রাণে। যেখানে ডুব দিলে উবে যায় এই নশ্বর পৃথিবীর প্রেম। “সোনালী যুগের মায়েরা” বইটিতে এমন অনেক মায়েদের জীবনের সারলিপি ও গুরত্বপুর্ণ অধ্যায়ের অবতারণা হয়েছে। বইয়ের পাতায় পাতায় দৃশ্যমান সেই মায়েদের সময় ও সম্মান; সংঘাত ও সংলাপ।