হাজ্জ স্বাধীন সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার ফরজ। সামর্থ্যবান বলতে আর্থিক ও দৈহিক সামর্থ্য বোঝায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘লোকসকল! আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর হাজ্জ ফরজ করেছেন।’ আকরা ইবনে হাবিস (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি প্রত্যেক বছর ফরজ?’ উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তবে ফরজ হয়ে যেত। আর প্রতি বছর হাজ্জ ফরজ হলে তা তোমরা সম্পাদন করতে সক্ষম হতে না। হাজ্জ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হাজ্জ।’ (বোখারি : ৭২৮৮)।
যে কাজে কষ্ট বেশি, তার সওয়াব ও ফজিলত তত অধিক। তাই রাসুল (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনার পর জিহাদ ও হাজ্জকে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে। একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘সর্বোত্তম আমল কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা।’ প্রশ্ন করা হলো, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।’ আবার প্রশ্ন করা হলো, ‘এরপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘হাজ্জে মাবরুর তথা মকবুল হাজ্জ।’ (বোখারি : ১৫১৯)।